আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন নিয়ে আমার সাথে আলোচনা হয়নি : সোহেল তাজ


 আমি রাজনীতিতে নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তিনি বলেন, নোংরা, পচা রাজনীতিতে আমার আগ্রহ নেই। আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন হলে নেতৃত্ব দেবেন সাবের হোসেন চৌধুরী ও সোহেল তাজ- লেখক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্যের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন সোহেল তাজ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) গণমাধ্যমকে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন সোহেল তাজ।


আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন হলে নেতৃত্ব দেবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন নিয়ে কারও সাথে আমার কোনো আলোচনা হয়নি। আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানি না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতা আর জনগণের নীতি-আদর্শভিত্তিক দল ছিল আওয়ামী লীগ। বাকশালে সেই আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত হয়। আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করতে হলে একাত্তরের আগের আদর্শে ফিরে যেতে হবে।


নতুন করে নতুন দল নিয়ে রাজনীতিতে ফিরে আসবেন কিনা জানতে চাইলে সোহেল তাজ সরাসরি এর উত্তর দেননি। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মই দেশ গড়বে। তারাই হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক। নতুন প্রজন্ম যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে পিওর হার্ট নিয়ে দেশ গড়তে এগিয়ে আসে তবে তাদের পাশে থাকবেন সোহেল তাজ।


এর আগে বৃহস্পতিবার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন, সাবের হোসেন চৌধুরী সভাপতি আর বডি সোহেলকে সাধারণ সম্পাদক এইভাবে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হবে। এই পুনর্গঠিত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে। এইটা যৌথ সিদ্ধান্ত। এতে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ব্রিটেনের সমর্থন আছে। এই কারণেই সাবের হোসেন চৌধুরীকে জেলে রাখা যায়নি।


পিনাকীর এই বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়েছেন সোহেল তাজ। শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পিনাকী ভট্টাচার্যের বক্তব্য সংবলিত একটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে পোস্ট দেন তিনি। ওই পোস্টে পিনাকীর দাবিকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।


পিনাকী ভট্টাচার্য ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, সাবের হোসেন চৌধুরী সভাপতি আর বডি সোহেলকে সাধারণ সম্পাদক এইভাবে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হবে। এই পুনর্গঠিত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে। এইটা যৌথ সিদ্ধান্ত। এতে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ব্রিটেনের সমর্থন আছে। এই কারণেই সাবের হোসেন চৌধুরীকে জেলে রাখা যায়নি।


পিনাকী আরও লিখেন, ১৯৭৫ এর পনোরোই আগস্টের বিপ্লবীদের দেশ ছাড়তে হয়েছিল। তারা বিভক্ত হতে হতে শক্তিহীন হয়ে পড়ে। যারা ১৯৭৫ এর বেনিফিসিয়ারি তারা বিপ্লবীদের বাঁচায়নি। একাংশ রাজনৈতিক দল তৈরি করলো ফ্রিডম পার্টি। আরেক অংশ খন্দকার মুশতাককে মাঝে রেখে দল গড়তে চেয়ে ব্যর্থ হলো। হাসিনা ফিরে এলো। ২০২৪ এ আবার ১৯৭৫ এর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। সেই একই ব্যবস্থা সেই একই কাঠামো অবিকৃত রেখে রাষ্ট্র চলবে। লুটপাট চলবে, ভারতের কর্তৃত্ব চলবে। ২৪ এর নায়কেরা ভুল আর বিভেদের পঙ্কিল আবর্তে ডুবে যাবে। আর এখন শুরু হয়েছে একজনের বিরুদ্ধে আরেকজনকে লড়িয়ে দেওয়া।


পিনাকী ভট্টাচার্যের এই অভিযোগকে সরাসরি ভুয়া/ফেইক নিউজ বলে আখ্যা দিয়েছেন সোহেল তাজ।

Next Post Previous Post