
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব বলেছেন, এটি সত্যিই দুঃখজনক জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরে বেশ কিছু বিষয়ে আমার সরাসরি বলেছি, বিশেষ করে সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ কিংবা আরও দুই একজন মাসুদ খন্দকার বলেন যারা রয়েছে, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ছোটখাটো ঘটনাতেও আমাদের ছাত্র দলের নামই জড়ায়।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলার কনফারেন্স রুমে জরুরি সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন, লক্ষ্য করে দেখবেন আমরা খুব পজিটিভ পলিটিক্স করছি সব গুলো ক্যাম্পাসে। সেখানে ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মীদের দ্বারা কোনো একটি হলেও আজকের দিন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ঘটনার প্রকৃত বৃত্তান্ত এই যে, বুধবার রাত ১০টার পরে সারজিস আলম তার কর্মীসমর্থকদের নিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেটের দিকে আসেন। গেটের সামনে সারজিস আলমের উপস্থিতি দেখে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সারজিস আলমকে উদ্দেশ্যে করে ‘ঢাবি’র সিন্ডিকেট ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’ স্লোগান দেন।
তিনি আরও বলেন, নবগঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করার অভিযোগে ওই ছাত্রসংগঠনটির কতিপয় ক্ষমতাশালী নেতা আত্মপ্রকাশের দিনেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মধুর ক্যান্টিনে সংঘর্ষে জড়ায়।
রাকিব বলেন, সারজিস আলম তার পোস্টে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী এবং টোকাই’ উল্লেখ করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছেন। আমরা তার এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।
ছাত্রদলের সভাপতি আরও বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সারজিস আলমের বিরোধের মধ্যে কোনো ছাত্রদল নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল কিনা আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার কাজ চলছে। যদি ছাত্রদলের কারও কোনো ন্যুনতম সংশ্লিষ্টতা থেকে থাকে, তাহলে আমরা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। একইসঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার দায় ছাত্রদলের ওপর চাপানোর কৌশলের বিরুদ্ধে আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।